দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ইতিহাসঃ ১ম বিশ্বযুদ্ধ(১)

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সম্পর্কে আলোচনা করতে হলে আগে ১ম বিশ্বযুদ্ধ সম্পর্কে কটি কথা বলে নেওয়া জরুরি। কেননা ১ম বিশ্বযুদ্ধ এবং ২য় বিশ্বযুদ্ধ পরস্পরের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। একটিকে ছাড়া আরেকটির আলোচনা প্রায় অসম্ভব।


ত্রিপক্ষীয় আঁতাতঃ
১৯০৭ সালে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স এবং রাশিয়ার মধ্যে আঁতাতটি গড়ে উঠে। এই আঁতাত ত্রিপক্ষীয় মিত্রজোট কিংবা শুধুমাত্র মিত্রশক্তি নামেও পরিচিত। আঁতাত গঠনের পূর্ব থেকেই ফ্রান্স-রাশিয়ার মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিরাজমান ছিল। ১৯০৭ সালে যুক্তরাজ্য এতে যোগদান করে। অন্যদিকে ইটালি জার্মানীর পক্ষ অবলম্বন করলেও ত্রিপক্ষীয় আঁতাত গঠনের কয়েক বছরের মধ্যে ফ্রান্সের সাথে চুক্তি করে বসে। এতে ইতালীয়-জার্মান সম্পর্কে মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পরে, যার ফলশ্রুতিতে ইটালি ১ম বিশ্বযুদ্ধে জার্মানীর বিরুদ্ধে লড়াই করে।




সেন্ট্রাল পাওয়ার্সঃ
সেন্ট্রাল পাওয়ার্সভুক্ত দেশগুলো হল জার্মানি, অস্ট্রো-হাঙ্গেরী, অটোমান সাম্রাজ্য এবং বুলগেরিয়া। এসব দেশ ১ম বিশ্বযুদ্ধে মিত্রশক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করে। দেশগুলোর ভৌগলিক অবস্থান পুর্ব দিকে রাশিয়া এবং পশ্চিমে ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের মধ্যবর্তী অঞ্চলে হওয়ায় এগুলোকে সেন্ট্রাল পাওয়ার্স বলা হত।

১৮৭৯ সালের ৭ অক্টোবর জার্মানি ও অস্ট্রিয়া-হাঙ্গেরী মিত্রতাসূত্রে আবদ্ধ হয়। ১৮৮২ সালের ২০ মে, ইটালি যোগদান করায় এটি ত্রিপক্ষীয় জোটে পরিণত হয়। ইটালি ১৯১৫ সালের ২৩ মে মিত্রশক্তির পক্ষে ১ম বিশ্বযুদ্ধে যোগদান করে। মূলত সার্বিয়ার বিরুদ্ধে অস্ট্রো-হাঙ্গেরী যুদ্ধ ঘোষণা করায় ইটালি সেন্ট্রাল পাওয়ার্সের পক্ষে যুদ্ধে যোগদানে অস্বীকৃতি জানায়। অস্ট্রিয় সরকার ফরাসি উপনিবেশ তিউনিসিয়ার বিনিময়ে ইটালিকে নিরপেক্ষ রাখার উদ্দেশ্যে আলোচনা চালাতে থাকে। কিন্তু ইটালি ১৯১৪ সালের এপ্রিলে চুক্তি সাক্ষরের মাধ্যমে ত্রিপক্ষীয় আঁতাতে যোগ দেয়। ১৯১৫ সালে, যুদ্ধ শুরু হবার এক বছর পরে, ইটালি অস্ট্রো-হাঙ্গেরীর বিরুদ্ধে এবং এর পনের মাস পরে জার্মানির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে।

অটোমান সাম্রাজ্য ১৯১৪ সালের অক্টোবরের শেষ দিকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করার মাধ্যমে সেন্ট্রাল পাওয়ার্সে যোগদান করে। বুলগেরিয়া ১৯১৩ সালের জুলাইয়ে সার্বিয়া, গ্রীস, রুমানিয়া এবং অটোমান সাম্রাজ্যের কাছে পরাজিত হয়। পরে দেশটি ১৯১৫ সালের অক্টোবরে জার্মানি ও অস্ট্রো-হাঙ্গেরীর সৈন্যদের সাথে মিলিতভাবে সার্বিয়া আক্রমনের মধ্যে দিয়ে মিত্রশক্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধে যোগদান করে।


যুদ্ধের কারণঃ
১৯১৪ সালের ২৮ জুন অস্ট্রিয়ার আর্চডিউক ও অস্ট্রো-হাঙ্গেরী সিংহাসনের উত্তরাধিকারী, ফ্রান্স ফারদিনান্দ হত্যাকাণ্ডের ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া, প্রথম বিশ্বযুদ্ধের তাৎক্ষণিক কারণ হলেও, এই যুদ্ধের প্রকৃত কারণ আরও ব্যাপক। নীচে ‌১ম বিশ্বযুদ্ধের কারণগুলো সংক্ষেপে আলোচনা করছি।


১) জাতীয়তাবাদী ভাবধারার উত্থানঃ
১ম বিশ্বযুদ্ধের সময় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে জাতীয়তাবাদের উত্থান লক্ষ্য করা যায়। সপ্তদশ শতাব্দি থেকেই ইউরোপে সার্বভৌম রাষ্ট্র ব্যবস্থা বিকাশ লাভ করে। এসব রাষ্ট্রের মূল আদর্শই হল দেশপ্রেম এবং জাতীয়তাবাদ। উদাহরণস্বরূপ, ফরাসি বিপ্লবের পর ফ্রান্সে নেপোলিয়ন বোনাপার্টের উত্থান ঘটে। নেপোলিয়ন ফরাসি বাহিনীকে একটি অজেয় বাহিনীতে পরিণত করতে সক্ষম হন। তার মূল হাতিয়ার ছিল ফরাসি জাতীয়তাবাদ। জাতীয়তাবাদী ধ্যানধারনার বিকাশের কারণে একদিকে যেমন মানুষের মাঝে দেশপ্রেম বৃদ্ধি পায়, অন্যদিকে বিভিন্ন রাষ্ট্রের মধ্যে শ্রেষ্ঠত্তের প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যায়।


২) জার্মানির অভ্যন্তরীণ রাজনীতিঃ
বামপন্থী সোশিয়াল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি, ১৯১২ সালে, জার্মানির সাধারণ নির্বাচনে বিপুল ব্যবধানে জয়লাভ করে। কিন্তু এসময় জার্মানির ক্ষমতায় প্রুশীও অভিজাত শ্রেণীর আধিপত্য ছিল। তারা এই বিজয় মেনে নিতে পারেননি। কোন কোন ঐতিহাসিক মনে করেন, সরকারকে ব্যর্থ করার লক্ষ্যে এবং জনগণের দৃষ্টিকে অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার জন্যে প্রুশীয়ানরা ইচ্ছাকৃতভাবে যুদ্ধ চাইছিল।


৩) মিলিটারির উত্থানঃ
১ম বিশ্বযুদ্ধের প্রধান কারণ হিসেবে সমরবাদকেই দায়ী করা যেতে পারে। বিভিন্ন রাষ্ট্রের মধ্যে অস্ত্র প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যায়। তন্মদ্ধ্যে জার্মানি ছিল সবার চেয়ে এগিয়ে। জার্মানির মিলিটারি কাঠামো এবং মিলিটারির দক্ষতা ছিল সেই সময় সবার জন্যে মডেল স্বরূপ। ইউরোপের অন্যান্য পরাশক্তিগুলো জার্মানিকে আদর্শ মেনে তাদের নিজস্ব সেনাবাহিনীকে ঢেলে সাজায়।

বিভিন্ন দেশ তাদের সশস্ত্রবাহিনীর উন্নতি সাধনের জন্যে সচেষ্ট হয়। পদাতিক বাহিনী এবং নৌবাহিনীতে ব্যাপক পরিবর্তন আসে। নতুন নতুন আধুনিক ব্যটলশীপ সংযোজিত হয়। সাবমেরিন আবিষ্কার নৌযুদ্ধয়ের ধারণাকেই পালটে দেয়। তবে, পদাতিক বাহিনীতে জার্মান শ্রেষ্ঠত্ব বজায় থাকলেও, গ্রেট ব্রিটেনের নৌবাহিনী ছিল অবিসংবাদিত সেরা। ১৯১৪ সালের মধ্যে ব্রিটিশ নৌবাহিনীর আয়তন ছিল, বিশ্বের পরবর্তী বৃহত্তম দুটি নৌশক্তির সম্মিলিত শক্তির চেয়ে বৃহৎ।


৪) সার্বিয়া এবং অস্ট্রো-হাঙ্গেরীর মধ্যে বৈরিতাঃ
বিংশ শতাব্দির শুরু থেকেই অস্ট্রো-হাঙ্গেরী এবং সার্বিয়ার মধ্যে বৈরি সম্পর্ক বিরাজ করছিল। নানা কারণে এই দুটি দেশের মধ্যে সম্পর্ক খারাপ হতে থাকে। অস্ট্রিয়ায় এরূপ ভীতি ছড়িয়ে পরে যে, চলমান বৈরি পরিস্থিতির কারণে সার্বিয়ার নেতৃত্বাধীন দক্ষিণাঞ্চলীয় স্লাভরা অস্ট্রো-হাঙ্গেরীর বিরুদ্ধে বিনা ঘোষণায় যুদ্ধ আরম্ভ করতে পারে। এমনও আশঙ্কা করা হয় যে রাশিয়া, ব্রিটেন এবং ফ্রান্সের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় সার্বিয়া সমগ্র জার্মান সাম্রাজ্যের বিরুধ্যে যুদ্ধ করতে পারে। অতি শক্তিশালী হয়ে উঠার আগেই সামরিকভাবে সার্বিয়াকে অবশ্যই পরাজিত করতে হবে এই ধারণা পুরো জার্মান সাম্রাজ্যের অনুগত প্রতিটি মানুষের মনে বদ্ধমূল হয়।


৫) তাৎক্ষণিক বা প্রত্যক্ষ কারণঃ
তবে সামান্য একটি ঘটনায় ইউরোপে বিভিন্ন দেশের মধ্যে বিরাজমান রাজনৈতিক সম্পর্ক একেবারে ভেঙ্গে পরে।। এর পূর্বে সকল দেশ একে অপরকে হুমকি ধামকিই দিয়ে আসছিলো। কিন্তু প্রকৃত যুদ্ধের আগুন জ্বালিয়ে দেয় এই ঘটনা। ১৯১৪ সালের ২৮শে জুন, অস্ট্রো-হাঙ্গেরীর আর্চডিউক এবং রাজতন্ত্রের উত্তরাধিকারী, ফ্রান্সিস ফারদিনান্দ, রাষ্ট্রীয় কাজে সার্বিয়া সফরকালে আততায়ীর গুলিতে নিহত হন। আততায়ী সার্বিয়ান ছিল। হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত হওয়ার খবর চাউর হবার পরপরই, সার্বিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করার জন্যে অস্ট্রো-হাঙ্গেরীর কাছে জার্মানি থেকে মারাত্মক চাপ আসতে থাকে।জার্মানরা ভাবত, একটি বড়সড় আকারের যুদ্ধই পারে ইউরোপে রাষ্ট্রগুলোর শক্তিমত্তা প্রদর্শনের প্রতিযোগিতা একেবারে শেষ করে দিতে। আর বিংশ শতাব্দীতে সংঘটিত এই যুদ্ধে কোন প্রকারে জিততে পারলেই, আগামী কয়েক শতাব্দির জন্যে ইউরোপের রাজা হয়ে থাকা যাবে। বেপরোয়া জার্মানি এই কারণে অস্ট্রো-হাঙ্গেরীর পক্ষে যুদ্ধ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে। জার্মানির প্রণোদনায় অস্ট্রিয়া, সার্বিয়াকে যুদ্ধের চূড়ান্ত আলটিমেটাম পাঠায়। সার্বিয়া সময় মত আলটিমেটামের জবাব দিতে ব্যর্থ হয়। এতে অস্ট্রো-হাঙ্গেরী, সার্বিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে দেয়।

অস্ট্রো-হাঙ্গেরীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে সার্বিয়াকে সাহায্য করবার জন্যে বন্ধু রাষ্ট্র রাশিয়া এগিয়ে আসে। তারা অস্ট্রিয়ানদের বিরুদ্ধে সৈন্যসমাবেশ ঘটায়। এতে জার্মানি ক্ষেপে গিয়ে রাশিয়াকে অনতিবিলম্বে সৈন্যসমাবেশ বন্ধ করতে বলে, নতুবা তারা রাশিয়া এবং সার্বিয়া উভয়ের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার হুমকি দেয়।

এতে কাজ না হওয়ায়, ১৯১৪ সালের ১ অগাস্ট, জার্মানি অস্ট্রো-হাঙ্গেরীর পক্ষ নিয়ে,রাশিয়া এবং সাবির্য়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। জার্মানির তরফ থেকে ফ্রান্সের কাছে যুদ্ধে কোন পক্ষ অবলম্বন করবে তা সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়। ফ্রান্স উত্তর দেয় যে নিজের স্বার্থ বিবেচনা করে তারা কর্মপন্থা ঠিক করবে। উত্তরটি জার্মানির পছন্দ হয়নি। এর ফলশ্রুতিতে, ৩ অগাস্ট জার্মানি ফ্রান্সের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে।
ফ্রান্স এবং জার্মানির মাঝে ছিল নিরপেক্ষ দেশ বেলজিয়াম। ফ্রান্স আক্রমণের লক্ষ্যে, জার্মানি বেলজিয়াম আক্রমণ করে। এতে বেলজিয়ামের বন্ধু রাষ্ট্র ব্রিটেন চটে যায়। যার কারণে পরবর্তীতে ব্রিটেন,সার্বিয়ার পক্ষ নিয়ে,জার্মানির বিরুদ্ধে, যুদ্ধ ঘোষণা করে।

১ম বিশ্বযুদ্ধে অক্ষশক্তির পক্ষে যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী অপর দেশ হল অটোমান সাম্রাজ্য। মুলত জার্মানি নিজেদের পক্ষে মিত্র সংখ্যা বাড়ানোর লক্ষ্যে অটোমান সাম্রাজ্যকে যুদ্ধে অংশ নিতে অনুরোধ জানায়। আর ১ম বিশ্বযুদ্ধের শুরুর দিকে জার্মানির পর পর অনেকগুলো বিজয় এবং নতুন সাম্রাজ্য লাভের সম্ভাবনা অটোমান সাম্রাজ্যকে যুদ্ধে যোগ দিতে প্রলুদ্ধ করে।

এভাবে ইউরোপে ১ম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়ে যায়।

৬) যুদ্ধে আমেরিকার অংশগ্রহনঃ
যুদ্ধের শুরু থেকেই আমেরিকা নিজেকে নিরপেক্ষ হিসেবে ঘোষণা করে আসছিলো। এর নিদর্শনস্বরূপ আমেরিকা অক্ষশক্তি এবং মিত্রশক্তিভুক্ত, উভয় দেশগুলোতে নিয়মিত রসদ সরবরাহ করত। তবে এই সাহায্যের মাত্রা ব্রিটেন এবং ফ্রান্সের জন্যে অনেক অনেক বেশি ছিল। অন্যদিকে জার্মানি শত্রুর রসদ সরবরাহের পথগুলো ধ্বংস করবার জন্যে সচেষ্ট হয়। কিন্তু জার্মানির কার্যকলাপ উলটো আমেরিকাকে যুদ্ধের পথে ঠেলে দেয়।

"লুসিতানিয়া" :
১৯১৫ সালের ৭ই মে, একটি জার্মান ইউ-বোট, ভুল করে ব্রিটিশ যাত্রীবাহী জাহাজ লুসিতানিয়াকে ডুবিয়ে দেয়। এই জাহাজে যাত্রীদের মধ্যে ১২৮ জন আমেরিকান ছিল। সকলেই মারা যান। আমেরিকান প্রেসিডেন্ট উইড্র উইলসন জার্মানিকে যাত্রীবাহী জাহাজে আক্রমণ চালানর ব্যাপারে হুঁশিয়ার করে দেন।
কিন্তু এর দুই বছর পর, জার্মানি ব্রিটেনগামী যে কোন জাহাজকে ধ্বংস করে দেওয়ার ঘোষণা দেয়। ফলে ব্রিটেনগামী অনেক আমেরিকান মালবাহী জাহাজ জার্মান আক্রমণে ডুবে যায়।

জিমারম্যান টেলিগ্রামঃ
১৯১৭ সালের ফেব্রুয়ারীতে ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থা আমেরিকান সরকারকে একটি টেলিগ্রাম পাঠায়। টেলিগ্রামটির প্রেরক, জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আর্থার জিমারম্যান এবং প্রাপক হলেন মেক্সিকোয় নিযুক্ত জার্মান অ্যাম্ব্যাসাডর। টেলিগ্রামটি পড়ে আমেরিকান সরকার তাজ্জব বনে যায়। সেখানে মেক্সিকান সরকারকে জার্মানির পক্ষে যুদ্ধে যোগ দিতে অনুরোধ জানানো হয়। বিনিময়ে মেক্সিকোকে ১৮৪০ সালের মেক্সিকান-আমেরিকান যুদ্ধে হারানো তার ভূখণ্ড পুনরুদ্ধারের ব্যাপারে সর্বাত্মক সামরিক এবং আর্থিক সহায়তা প্রদানের নিশ্চয়তা দেওয়া হয়। খবরটি শুনে আমেরিকার ধৈর্যের বাঁধ ভেঙ্গে যায়। তারা নিরপেক্ষ অবস্থান থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নেয়।

এসব কারণে আমেরিকা ১৯১৭ সালের ৬য় এপ্রিল যুদ্ধে মিত্রশক্তির পক্ষে যোগদান করে।