অ্যাডলফ হিটলারের জীবনের উপর স্বভাবতই অনেকবার আক্রমণ করা হয়েছিল। নাৎসি
পার্টিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই এই সব আক্রমণ শুরু হয়। প্রতিবারই তিনি
অলৌকিকভাবে বেঁচে যান।
১ম বিশ্বযুদ্ধের সময় হত্যা চেষ্টা
১) যুদ্ধের সময় হিটলার ও তার দলের সঙ্গীরা একটি বাঙ্কারে অবস্থান করছিল। হিটলার কি মনে করে বাঙ্কারের বাইরে বেরিয়ে আসেন। এক মুহূর্ত পরেই, শত্রুর আর্টিলারি শেল সরাসরি তার বাঙ্কারের উপর এসে পরে। তার সব সঙ্গীরা মারা যায়। কেবল মাত্র বাইরে বেরিয়ে আসার কারণে তিনি বেঁচে যান।
২) ১ম বিশ্বযুদ্ধের সময় হিটলার অলৌকিকভাবে দ্বিতীয় জীবন পান। ১৯১৪ সালে অক্টোবরে, যুদ্ধের সময়, হিটলার হেনরি ট্যান্ডি(henry tandy) নামক একজন ব্রিটিশ সেনার গুলির আওতায় চলে আসেন। ট্যান্ডি হিটলারকে দেখে গুলি করেন। গুলির আঘাতে হিটলার পড়ে যান। ট্যান্ডি দ্বিতীয়বার গুলি করার জন্যে হিটলারের কাছে আসেন। কিন্তু হিটলারকে অসহায়ভাবে পড়ে থাকতে দেখে তিনি গুলি নামিয়ে নেন। এভাবে হিটলার প্রাণে বেঁচে যান।
১ম বিশ্বযুদ্ধে বীরত্বের জন্যে হেনরি ট্যান্ডিকে ভিক্টোরিয়াস ক্রস উপাধি প্রদান করা হয়। পত্রিকা পড়ে হিটলার তা জানতে পারেন। তিনি আজীবন পত্রিকার সেই ক্লিপিংস্ নিজের সাথে রেখেছিলেন।
চ্যান্সেলর হওয়ার আগে, হত্যা চেষ্টাঃ
১) ১৯২১ নভেম্বর, মিউনিখ।
হিটলার তখন নাৎসি পার্টির সদস্য। মিউনিখের একটি বিয়ার হলে তিনি বক্তৃতা দিতে গিয়েছিলেন। শ্রোতাদের মধ্যে সেদিন ইন্ডেপেন্ডেন্ট সোশিয়ালিস্ট পার্টি, ম্যাজরিটি সোশিয়ালিস্ট পার্টি আর কমিউনিস্ট পার্টির অনেক সদস্য ছিল। এরা সবাই নাৎসি পার্টি বিরোধী।
বিয়ার হলগুলোতে এরকম রাজনৈতিক বক্তৃতা দেওয়ার পর বিভিন্ন দলের মধ্যে মারামারি লেগে যাওয়া একটি স্বাভাবিক ঘটনা। হিটলার আরও তীব্র ভাষা ব্যবহার করে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করে তুলেন। কিছুক্ষন পর মারামারি লেগে যায়। হিটলার বিরোধীরা তার দিকে বিয়ারের বোতল ছুড়ে মারতে থাকেন।
ইতিমধ্যে নাৎসি পার্টির বডিগার্ড শাখা the S.A (Storm Abteilung, ইংরেজিতে stormtroopers) হলের ভিতর ঝড়ের বেগে প্রবেশ করে আর হিটলারকে জটলার ভিতর থেকে বাহিরে নিয়ে আসার চেষ্টা করে। কিন্তু এরি মাঝে হিটলারকে লক্ষ্য করে কে বা কারা কয়েক রাউন্ড গুলি করে বসে। হিটলারও কম যান না। তিনিও উৎস লক্ষ্য করে গুলি করেন(১ম বিশ্বযুদ্ধের পর থেকেই হিটলার নিয়মিত নিজের কাছে একটি পিস্তল রাখতেন)
২) ১৯২৩ সাল, লিপযিগ, জার্মানি।
হিটলার অল্পের জন্যে বেঁচে যান। একইদিনে দুইবার তাকে হত্যা চেষ্টা করা হয়। একবার একটি জনসভায়। আরেকবার একটি গাড়িতে উঠবার সময়।
৩) ১৯২৯ সাল। স্পোর্টস্প্যালেস(the sportspalast), জার্মানি।
একজন বিশ্বাসঘাতক এসএস(SS) গার্ড, হিটলারের বক্তৃতা দেওয়ার মঞ্চে একটি রিমোট কন্ট্রোল বম্ব রাখার পরিকল্পনা করে। সেখানে হিটলারের দীর্ঘক্ষণ বক্তৃতা দেওয়ার কথা ছিল। গার্ড, বম্বটিকে নিজের কাছে রাখে। কিছুক্ষণ পর সে বাথরুমে যায়। তার পরিকল্পনা ছিল বাথরুম থেকে বেরিয়ে চটজলদি বম্বটিকে স্টেজের কাছে রেখে দিয়ে বিল্ডিং থেকে বের হয়ে যাবে। বাইরে থেকে সে বম্ব ডেটোনেট করবে।
কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তার বাথরুমের দরজার তালা আটকে যায়। বেচারা গার্ড ধাক্কাধাক্কি করেও বাথরুম থেকে বের হতে পারে না। হিটলার এ যাত্রায় বেঁচে যান।(হিটলারের বন্ধু পরে এই অলৌকিক ঘটনাকে the joke of the century বলে আখ্যায়িত করেন)
৪) জানুয়ারী, ১৯৩২ সাল, হোটেল কাইসারহফ(hotel kaiserhauf), বার্লিন.
হিটলারের খাবারে তীব্র বিষের উপস্থিতি ধরা পড়ে। হিটলার অবশ্য তা খাননি। এই কারণে বেঁচে যান।
৫) মার্চ ১৫, ১৯৩২, মিউনিখ থেকে ওয়াইমারগামী ট্রেন।
হিটলারকে বহনকারী ট্রেন লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
৬) জুন ১৯৩২, স্ট্রাসল্যান্ড(strusland) শহর, জার্মানি।
স্ট্রাসল্যান্ড শহর দিয়ে যাওয়ার পথে হিটলারের গাড়ি ভয়াবহ গুলি বৃষ্টির মধ্যে পড়ে। এক দল অস্ত্রধারী লোক রাস্তার পাশের ঝোপঝাড় থেকে লুকিয়ে এই গুলিবর্ষণ করে।
১ম বিশ্বযুদ্ধের সময় হত্যা চেষ্টা
১) যুদ্ধের সময় হিটলার ও তার দলের সঙ্গীরা একটি বাঙ্কারে অবস্থান করছিল। হিটলার কি মনে করে বাঙ্কারের বাইরে বেরিয়ে আসেন। এক মুহূর্ত পরেই, শত্রুর আর্টিলারি শেল সরাসরি তার বাঙ্কারের উপর এসে পরে। তার সব সঙ্গীরা মারা যায়। কেবল মাত্র বাইরে বেরিয়ে আসার কারণে তিনি বেঁচে যান।
২) ১ম বিশ্বযুদ্ধের সময় হিটলার অলৌকিকভাবে দ্বিতীয় জীবন পান। ১৯১৪ সালে অক্টোবরে, যুদ্ধের সময়, হিটলার হেনরি ট্যান্ডি(henry tandy) নামক একজন ব্রিটিশ সেনার গুলির আওতায় চলে আসেন। ট্যান্ডি হিটলারকে দেখে গুলি করেন। গুলির আঘাতে হিটলার পড়ে যান। ট্যান্ডি দ্বিতীয়বার গুলি করার জন্যে হিটলারের কাছে আসেন। কিন্তু হিটলারকে অসহায়ভাবে পড়ে থাকতে দেখে তিনি গুলি নামিয়ে নেন। এভাবে হিটলার প্রাণে বেঁচে যান।
১ম বিশ্বযুদ্ধে বীরত্বের জন্যে হেনরি ট্যান্ডিকে ভিক্টোরিয়াস ক্রস উপাধি প্রদান করা হয়। পত্রিকা পড়ে হিটলার তা জানতে পারেন। তিনি আজীবন পত্রিকার সেই ক্লিপিংস্ নিজের সাথে রেখেছিলেন।
চ্যান্সেলর হওয়ার আগে, হত্যা চেষ্টাঃ
১) ১৯২১ নভেম্বর, মিউনিখ।
হিটলার তখন নাৎসি পার্টির সদস্য। মিউনিখের একটি বিয়ার হলে তিনি বক্তৃতা দিতে গিয়েছিলেন। শ্রোতাদের মধ্যে সেদিন ইন্ডেপেন্ডেন্ট সোশিয়ালিস্ট পার্টি, ম্যাজরিটি সোশিয়ালিস্ট পার্টি আর কমিউনিস্ট পার্টির অনেক সদস্য ছিল। এরা সবাই নাৎসি পার্টি বিরোধী।
বিয়ার হলগুলোতে এরকম রাজনৈতিক বক্তৃতা দেওয়ার পর বিভিন্ন দলের মধ্যে মারামারি লেগে যাওয়া একটি স্বাভাবিক ঘটনা। হিটলার আরও তীব্র ভাষা ব্যবহার করে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করে তুলেন। কিছুক্ষন পর মারামারি লেগে যায়। হিটলার বিরোধীরা তার দিকে বিয়ারের বোতল ছুড়ে মারতে থাকেন।
ইতিমধ্যে নাৎসি পার্টির বডিগার্ড শাখা the S.A (Storm Abteilung, ইংরেজিতে stormtroopers) হলের ভিতর ঝড়ের বেগে প্রবেশ করে আর হিটলারকে জটলার ভিতর থেকে বাহিরে নিয়ে আসার চেষ্টা করে। কিন্তু এরি মাঝে হিটলারকে লক্ষ্য করে কে বা কারা কয়েক রাউন্ড গুলি করে বসে। হিটলারও কম যান না। তিনিও উৎস লক্ষ্য করে গুলি করেন(১ম বিশ্বযুদ্ধের পর থেকেই হিটলার নিয়মিত নিজের কাছে একটি পিস্তল রাখতেন)
২) ১৯২৩ সাল, লিপযিগ, জার্মানি।
হিটলার অল্পের জন্যে বেঁচে যান। একইদিনে দুইবার তাকে হত্যা চেষ্টা করা হয়। একবার একটি জনসভায়। আরেকবার একটি গাড়িতে উঠবার সময়।
৩) ১৯২৯ সাল। স্পোর্টস্প্যালেস(the sportspalast), জার্মানি।
একজন বিশ্বাসঘাতক এসএস(SS) গার্ড, হিটলারের বক্তৃতা দেওয়ার মঞ্চে একটি রিমোট কন্ট্রোল বম্ব রাখার পরিকল্পনা করে। সেখানে হিটলারের দীর্ঘক্ষণ বক্তৃতা দেওয়ার কথা ছিল। গার্ড, বম্বটিকে নিজের কাছে রাখে। কিছুক্ষণ পর সে বাথরুমে যায়। তার পরিকল্পনা ছিল বাথরুম থেকে বেরিয়ে চটজলদি বম্বটিকে স্টেজের কাছে রেখে দিয়ে বিল্ডিং থেকে বের হয়ে যাবে। বাইরে থেকে সে বম্ব ডেটোনেট করবে।
কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তার বাথরুমের দরজার তালা আটকে যায়। বেচারা গার্ড ধাক্কাধাক্কি করেও বাথরুম থেকে বের হতে পারে না। হিটলার এ যাত্রায় বেঁচে যান।(হিটলারের বন্ধু পরে এই অলৌকিক ঘটনাকে the joke of the century বলে আখ্যায়িত করেন)
৪) জানুয়ারী, ১৯৩২ সাল, হোটেল কাইসারহফ(hotel kaiserhauf), বার্লিন.
হিটলারের খাবারে তীব্র বিষের উপস্থিতি ধরা পড়ে। হিটলার অবশ্য তা খাননি। এই কারণে বেঁচে যান।
৫) মার্চ ১৫, ১৯৩২, মিউনিখ থেকে ওয়াইমারগামী ট্রেন।
হিটলারকে বহনকারী ট্রেন লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
৬) জুন ১৯৩২, স্ট্রাসল্যান্ড(strusland) শহর, জার্মানি।
স্ট্রাসল্যান্ড শহর দিয়ে যাওয়ার পথে হিটলারের গাড়ি ভয়াবহ গুলি বৃষ্টির মধ্যে পড়ে। এক দল অস্ত্রধারী লোক রাস্তার পাশের ঝোপঝাড় থেকে লুকিয়ে এই গুলিবর্ষণ করে।